Author: Premendra Mitra
Producer: Ghanada Club
Synopsis: ঘনাদাকে তো আমরা জানি। কী কথা থেকে কি কথা পেড়ে ফেলে সবাইকে একেবারে নির্বাক শ্রোতা বানিয়ে দিতে পারেন। হচ্ছিল হয়তো বন্যার কথা – সেখান থেকে তিনি দিব্যি শুরু করে দিলেন টাইড্যাল ওয়েভের আলোচনা। তো সেরকমভাবেই সেদিন কথায় কথায় এনে ফেললেন মশার আলোচনা। সাখালিন দ্বীপে জংগল আর পাহাড়ের পাণ্ডববর্জিত জায়গা। ঘনাদা ও ডাক্তার মার্টিন দুজন কুলি সহযোগে তানলিনের খোঁজে বেরিয়ে জঙ্গলের মাঝে গুপ্ত বাড়ির খোঁজ পান অতি কষ্টে। নিশিমারা নামে এক প্রত্নতত্ত্ববিদের রহস্যময় গবেষণাগার সেটা। ক্রমশ প্রকাশ পায় তার সাংঘাতিক কাজকারবার। মশার লালার রাসায়নিক পরিবর্তন করে এমন একটি বিষাক্ত মশা নির্মান করেছেন যার দংশন মানে অবশ্যম্ভাবী মৃত্যু। কাঁচের নলে সেই মশা সযত্নে রাখা। দুর্ভাগ্যের বিষয় সেই ভয়ংকর মশার কামড়েই মারা গেছে তানলিন। এই গোপন মারণ রসায়নাগার জেনে ফেলার অপরাধে এই মশা অস্ত্র প্রয়োগেই ঘনাদা ও ডাক্তার মার্টিনের প্রান সংহার করতে চান শয়তান নিশিমারা। কিন্তু ঘনাদার বিক্রমের কাছে তিনি শিশু। মুহূর্তের ঝটকায় ঘনাদা কাচের নলটিকে মেঝেতে ফেলে চুরমার করে দেন। মশাও বেরিয়ে ঘরময় ঘুরে বেড়াচ্ছে মানুষ দংশাবে বলে। ঘরের খিল খুলে পালাতে যাবেন ঘনাদা – হঠাৎ লক্ষ্য করলেন যুযুৎসুর প্যাঁচে মার্টিনকে মাটিতে পেড়ে ফেলেছেন নিশিমারা। আর তার মাথার উপরে উড়ছে সেই মশা। এক হ্যাঁচকা টানে মার্টিনকে ঘনাদা সরিয়ে দিতেই মশা নিশিমারাকে কামড়ায়। ঘনাদার প্রবল থাপ্পড়। সঙ্গে সঙ্গে মশা আর নিশিমারা দুজনের ভবলীলা সাঙ্গ।
Privacy Policy | Powered by Ghanada Club (www.ghanada.com)