(Das Holen Ghanada)
Author: Premendra Mitra
Producer: Ghanada Club
Synopsis: আঠারো নম্বর বনমালি নস্কর লেনের মেসে জোর তোড়জোড়। প্রতিদিন ব্যয় সংকোচ নীতি প্রতিপালন। তাই বিকেলের জলখাবারে সব নিরামিষ আয়োজন। ঘনাদা ব্যাপারটা মেনে নিয়েছেন আবার মনেও নিয়েছেন। মানে রীতিমতো মনে মনে বিরক্ত। জলখাবারের আয়োজনে তিনি আর আসছিলেনই না। নিরামিষ যে তার মুখে একেবারেই রোচে না। অগত্যা তাকে আনতে মহাভারতের তথ্যের বৈধতা নিয়ে চিৎকার জুড়ে দিতেই ঘনাদা তার পাণ্ডিত্য প্রকাশী বাহাদুরি নিতে তড়বড়িয়ে সিঁড়ি বেয়ে হাজির।
তারপর ? যা হয়। কুরুক্ষেত্রে প্রতিদিন কত অক্ষৌহিনী সৈন্য মারা গেছে তাই নিয়ে জম্পেশ বাকযুদ্ধ। ঘনাদা তার চিরায়ত ভঙ্গিতে অত্যন্ত নাটকীয় ভাবে প্রশ্ন তুলে দিলেন কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের দিনসংখ্যা নিয়ে। একটা বাচ্ছা ছেলেও জানে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ হয়েছিল আঠারো দিনে। কিন্তু যুদ্ধ কথক সঞ্জয়ের বিবরণ নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন ঘনাদা। তাঁর মত ওটা আঠারো নয়, ঊনিশ দিন।
ব্যাস। এরপর সম্মিলিত কৌতূহলের ভরা আবহ আর ঘনাদার কুরুক্ষেত্রের সেনাবাহিনীর নতুনতর ব্যাখ্যান। সংখ্যায় দুর্বল পাণ্ডবেরা জায়গা দখলের দৌড়ে নাকি নির্দিষ্ট দিনের একদিন আগেই পৌঁছে গিয়েছিল কুরুক্ষেত্রের অকুস্থলে। যুদ্ধের জন্য পান্ডবদের তড়িঘড়ি জায়গা দখলের সময় তো সঞ্জয় সেখানে উপস্থিতই ছিলো না। এমন একটা চমকপ্রদ বৈপ্লবিক ব্যাখ্যার পরে আর কোন সংশয় কি আর কারো গলা দিয়ে নামতে পারে ?
উল্টে গৌর ছুটল বড়ো রাস্তার মোড়ের দোকানের চিকেন প্যাটিস আর ফিশরোল আনতে। এমন নব মহাভারতীয় ব্যাখ্যানকে সম্মান জানাতে হবে না ?
Privacy Policy | Powered by Ghanada Club (www.ghanada.com)